টুথব্রাশ এমন একটি পণ্য যেটি বাংলাদেশের যে কোন স্থানে প্রয়োজন হয়ে থাকে। ছোট বড় সকলই দাঁত ব্রাশ করার জন্য টুথব্রাশ ব্যবহার করি। তাই বলা যায় টুথব্রাশ এমন একটি পণ্য এটির চাহিদা সব জায়গায় আছে এবং সব সময় বিক্রি হয়। আমরা যারা টুথব্রাশের ব্যবসা করতে চাই স্পেশালি পাইকারি ব্যবসা, তাদের জন্য এই গাইডলাইন শেয়ার করা হলো।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বেসিক জিনিস জানতে হয়। যেমন ব্যবসায় প্ল্যানিং, মার্কেট রিসার্চ,প্রোডাক্ট রিসার্চ, প্রোডাক্ট বিক্রি করার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হয়।
ব্যবসায়ী প্ল্যান
আপনি যে কোন ব্যবসা করেন না কেন আপনাকে প্রথমে প্লান করতে হবে। কি কি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন কত টাকা ইনভেস্ট নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন এবং এখান থেকে কত টাকা জেনারেট করবেন সে সম্পর্কে আপনাকে একটি প্লান করতে হবে। ধরুন আপনি ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্রাশের দাম সম্পর্কে মোটামুটি আইডিয়া থাকতে হবে এবং কত টাকার ব্রাশ ক্রয় করে আপনি পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন সেটা মোটামুটি ধারণা নিতে হবে।
ব্রাশের মার্কেট রিচার্জ
ব্যবসায় প্লানিং পর দ্বিতীয় ধাপ হল মার্কেট রিসার্চ। আপনার মার্কেটিং রিসার্চ যত ভালো হবে আপনি ব্যবসা হতে তত ভালো ফলাফল পাবেন। মার্কেট রিসার্চ হল আপনি যে এরিয়াতে থাকেন বা যে এরিয়াতে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে চাচ্ছেন সে এরিয়াতে কোন প্রোডাক্ট গুলো সবচেয়ে ভালো চলে, কি কি প্রোডাক্টের চাহিদা আছে, এর সম্পর্কে আপনার ধারণা নেওয়া।
আপনি যখন মার্কেট রিসার্চ করবেন তখন অবশ্যই আপনি প্রোডাক্টের এর পাইকারি ও খরচা দাম সম্পর্কে ধারণা নিবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ম্যাটাডোর ব্রাশ বিক্রি করার টার্গেট করেছেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে ম্যাটাডোর ব্রাশ খরচা কত টাকা বিক্রি করা হয় এবং পাইকারি কত টাকা আপনি কিনতে পারবেন।
ম্যাটাডোর এক বক্স ব্রাশের খুচরা মূল্য ৩৬০ টাকা। এই ম্যাটাডোর ব্রাশ আপনি পাইকারি কিনতে পারবেন ১৪৪ টাকা। আপনি দোকানে পাইকারি বিক্রি করতে পারবেন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। প্রতি ডজন ব্রাশে আপনি লাভ করতে পারবেন 40 থেকে 45 টাকা।
এভাবে আপনি ১০ থেকে ১৫ আইটেম ব্রাশের খুচরা ও পাইকারি মূল্য সম্পর্কে ধারণা নিবেন এবং এগুলোর মার্কেটে কি রকম চাহিদা আছে সে সম্পর্কে ধারণা নিবেন।
প্রোডাক্ট রিচার্জ
প্রোডাক্ট রিসার্চ এবং মার্কেট রিসার্চ প্রায় একই প্রক্রিয়া। প্রোডাক্ট রিসার্চ হল একটি প্রোডাক্টের গুণগত মান এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। কিছু প্রোডাক্ট আছে গুনে ও মানে ভালো কিন্তু স্পেসিফিক এরিয়াতে এর চাহিদা কম। আবার দেখা গেছে কিছু প্রোডাক্ট মোটামুটি কোয়ালিটির বাট এগুলার চাহিদা অনেক। তাহলে আপনাকে যে পণ্যের চাহিদা আছে সে পণ্যটি সিলেক্ট করতে হবে।
ব্রাশের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্রান্ড আছে যেগুলো মানুষের কাছে খুবই পরিচিত এবং ওগুলোর চাহিদাও বেশি।আপনি সেই সকল প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন। উদাহরণস্বরূপ ম্যাটাডোর কোম্পানির ব্রাশগুলো বাংলাদেশের সকল এরিয়াতে ভালো চাহিদা আছে সে ক্ষেত্রে আপনি এটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে লাভবান হওয়ার খুবই সম্ভাবনা আছে।
ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা করতে কত টাকার প্রয়োজন?
ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা করার জন্য বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে 10 থেকে 15 হাজার টাকার মধ্যেই ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি প্রথমে ১৫ হাজার টাকার ব্রাশ ক্রয় করেন তা পাইকারি বিক্রি করতে আপনার মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগবে। আপনি আবার ৫ দিন পর 10 থেকে 15 হাজার টাকার ব্রাশ ক্রয় করবেন। এভাবে আপনি মাসে পাঁচ থেকে ছয় বার ব্রাশ ক্রয় করে সম্পূর্ণ মাস পাইকারি ব্রাশ সাপ্লাই দিতে পারবেন।
এখন কথা হল, মাসে ৫-৬ বার ঢাকায় এসে ব্রাশ ক্রয় কষ্টসাধ্য ব্যয়বহুল এবং সময় অপচয়। তাহলে এই কাজটি আপনি কিভাবে সহজে করবেন? এ কাজটি সহজে করার জন্য পাইকার ওয়েব আপনাকে সাহায্য করবে।
পাইকার ওয়েব কি?
পাইকার ওয়েব হল পাইকারি পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের অনলাইন ভিত্তিক পাইকারি বাজার যেখান থেকে আপনি সহজেই ঘরে বসে যে কোন পণ্য পাইকারি কিনতে পারবেন। আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের ব্রাশ পাইকারি ক্রয় করতে পারবেন। পাইকার ওয়েব হলো এমন একটি মাধ্যম যেকোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট সরাসরি পাইকারি বিক্রেতার নিকট পৌঁছে দেওয়া। যেহেতু পাইকার ওয়েব কোম্পানি থেকে যেকোনো পণ্য সরাসরি পাইকারি নিকট পৌঁছে দেয় সেহেতু পাইকার ওয়েব এর মাধ্যমে সবচেয়ে কম দামে পাইকারি পণ্য ক্রয় করা সম্ভব।
পাইকা ওয়েবে আপনি যেকোনো ধরনের ব্রাশ অর্ডার করতে পারবেন এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন । পণ্য হাতে পেয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। প্রতিটি ব্রাশের খরচা মূল্য পাইকারি মূল্য এবং আপনি কিভাবে ব্যবসা করবেন সে সম্পর্কে গাইডলাইন দেওয়া আছে।
ব্রাশের ব্যবসা করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
ব্রাশের ব্যবসা করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব এটা ডিপেন্ড করে আপনি প্রতি মাসে কত টাকার ব্রাশ বিক্রি করতে পারছেন তার উপরে। যেকোনো ব্রাশে অথবা যে কোন ব্রান্ডের ব্রাশে একজন পাইকারি বিক্রেতা 30% এর উপর লাভ করতে পারেন । আপনি যদি প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকার ব্রাশ বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। যদি দুই লক্ষ টাকার ব্রাশ বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ৬০০০০ টাকার উপরে লাভ করতে পারবেন।
মাসে কিভাবে দেড় লক্ষ টাকার ব্রাশ পাইকারি বিক্রি করবেন?
মাসে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ব্রাশ বিক্রি করা যদিও কাল্পনিক মনে হয় কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব। তা কিভাবে সম্ভব? ধরুন আপনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেছেন, তাহলে আপনাকে প্রতিদিন মিনিমাম ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে, এবং এই ডিউটির মধ্যে আপনাকে একটি টার্গেট দেওয়া হবে। প্রতিদিন আপনাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতে হবে। মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকার একটি টার্গেট থাকে। এই টার্গেট কমপ্লিট করলে আপনাকে মাস শেষে একটি স্যালারি দেওয়া হবে।
একইভাবে আপনি যদি কোম্পানি চাকরি না করে নিজের প্রোডাক্ট সেল করেন দৈনিক আট ঘন্টা ডিউটি করেন তাহলে আপনিও একই পরিমাণ পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
ধরুন আপনি আট ঘন্টা ডিউটি করে ৫০ টি দোকান ভিজিট করলেন, এই ৫০ টি দোকানের মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ টি দোকানে ব্রাশ বিক্রি করলে। তাহলে আপনি দৈনিক কত টাকার ব্রাশ বিক্রি করতে পারবেন? যদি মোটামুটি 15 টি দোকানে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে দৈনিক পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। যেহেতু আপনি পাইকারি বিক্রি করেন সেহেতু প্রতিটি দোকানে মোটামুটি পাঁচশো টাকার উপরে বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতিদিন এবার আছে 5000 টাকা বিক্রি করলেও মাসে দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। আর দেড় লক্ষ টাকার ব্রাশ পাইকারি বিক্রি করলে আপনি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। যেটা একটি চাকরি চাইতেও চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি টাকা।
আপনি চাইলে যেকোনো পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনাকে সাহায্য করার জন্য পাইকার ওয়েব সব সময় আপনার পাশে থাকবে। পাইকার ওয়েব থেকে পাইকারি পণ্য ক্রয় করুন সহজে দ্রুত ও নিরাপদে।