আপনি যে কোন কোম্পানিতে চাকরি করেন না কেন প্রতি মাসে আপনাকে একটি টার্গেট দিবে, আপনি যদি টার্গেট পূরণ করতে পারেন তাহলে কোম্পানি আপনাকে 10 থেকে 12 হাজার টাকা স্যালারি দিবে। অথচ আপনি সেই সেম পরিমাণ পরিশ্রম করে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখন কথা হল কিভাবে করবেন?
কিভাবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করবেন?
যেহেতু এখানে আমি শুধু সরিষার তেল এর কথা উল্লেখ করেছি তাই আমি আজকে আপনার সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি সরিষার তেল বিক্রি করে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেনা। ১৫ মি লি সরিষার তেলের মূল্য ৬০ টাকা, সে তেল আপনি পাচ্ছেন মাত্র ২৫ টাকায়,আপনি সেই তেল বিক্রি করতে পারবেন ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। তাহলে প্রতি দর্জনে আপনি ১০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি দৈনিক ১০ টি দোকানে সেল দিতে পারেন তাহলে প্রতিদিন ১০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি আরও বেশি পরিমাণ বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি আরো বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি সরিষার তেলের পাশাপাশি আরও দুই থেকে তিনটি পণ্য রাখতে পারেন তাহলে প্রতিদিন আপনি আরো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করা কি সম্ভব?
আপনি যদি শুদু সরিষার তৈল বিক্রি করেন তাহলে প্রতি মাসে 25 থেকে 30 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে। যদি এর পাশাপাশি আরো দুই থেকে তিনটি আইটেম বিক্রি করেন তাহলে আপনি আরো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করেন না কেন আপনাকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। আপনি যদি সেম পরিমাণ ডিউটি আপনি আপনার বিজনেসে করেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে মিনিমাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি এখন মনে করতে পারেন যে এটা কি আসলেই সম্ভব? হ্যাঁ !! এটা আসলেই সম্ভব কারণ হচ্ছে আপনি প্রতিটা পণ্য থেকে 30% এর মত ইনকাম করতে পারবে। ধরুন আপনি একটি কোম্পানিতে জব করেন আপনাকে 5 লক্ষ টাকার টার্গেট দেওয়া হলো। আপনি অন্ততপক্ষে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করতে হবে।
আর আপনি যদি আপনার পণ্য প্রতিমাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার পণ্য বিক্রি করেন তাহলে আপনি 30% হিসাব করলে আপনি প্রতি মাসে 40 থেকে 45 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আপনি একটু ক্যালকুলেশন করে দেখেন যে একটি কোম্পানির যে পরিমাণ টার্গেট ফুল করতে হয় আপনি তার তিনভাগের এক ভাগ টার্গেট ফুল করতে পারলে কি পরিমান ইনকাম হতে পারে।
পণ্য বিক্রি করার প্রক্রিয়া
একটি কোম্পানির পণ্য যেভাবে মার্কেটিং করে একই প্রসেসে আপনি আপনার পণ্য মার্কেটিং করবেন। আপনি সকাল ৯ টার দিকে বের হবেন বিকেল চারটা পর্যন্ত ডিউটি করবেন। তাহলে মোটামুটি আপনি 50 থেকে 60 টি দোকান ভিজিট করতে পারবেন এবং দোকানের দোকানদারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবেন।
এই ৫০ থেকে ৬০ টি দোকানের মধ্য আপনি শুধু দশটি দোকানে সেল করতে পারলেই আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ভালো থাকে ইনকাম করতে পারবেন (1000 টাকা ইনকাম করতে পারবেন) . এটা হচ্ছে মিনিমাম ইনকামের একটি পদ্ধতি।
আপনি যদি চান তাহলে আরও বেশি পরিমাণ পণ্য বিক্রি করে আরও বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি ১০০ থেকে ১৫০ দোকান ভিজিট করতে পারেন এবং টার্গেট রাখবেন যে 20 থেকে 25 টা দোকানে সেল করা। আপনি যেহেতু হোলসেলার সে ক্ষেত্রে প্রতিটা দোকানে মিনিমাম ১০০০ টাকার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি মোটামুটি বিশ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আর ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলে যদি 30% লাভ হলে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন একটু দেখেন।
সরিষার তেলের চাহিদা কেমন?
সরিষার তেলের চাহিদা বাংলাদেশের সব জায়গায় সব সময়ই ভালো চাহিদা আছে। নমরুপা সরিষার তেলের কথাই ধরা যাক!! নবরুপা সরিষার তেল একটি BSTI অনুমোদিত ১০০% খাঁটি সরিষার তেল। আপনি যে কোন অঞ্চলে এটি বিক্রি করতে পারবেন আর এটি বিক্রি করে খরচা বিক্রেতা ও ভালো পরিমান লাভ করতে পারবে। প্রতি ডর্জন বিক্রেতা খুচরা বিক্রেতা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবে। আর আপনি যদি হোলসেলার হন তাহলে প্রতি ডজনে আপনি ১০০ টাকা করে লাভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি দশটি দোকানে ১০ ডর্জন বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি ১০০০ টাকা ইনকাম দেয় পারবেন
আমরা আরো অন্যান্য কোম্পানির সরিষার তেল গুলো অফার করি কিন্তু ওগুলোতে আপনি মোটামুটি ৫ থেকে 10% ইনকাম করতে পারবেন। আর এগুলা সেল দেওয়া ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য একটু কষ্টসাধ্য। কারণ হচ্ছে এই পণ্যগুলো সরাসরি বড় কোম্পানিগুলো তারা সেলার দিয়ে দোকানে দোকানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ছোট কোম্পানিগুলো তারা বাংলাদেশের সকল জায়গায় এই পণ্যগুলো পৌঁছাতে সক্ষম নয়। তাই তারা এগুলো সকল খরচ বাদে কম দামে অফার করে যাতে এই পণ্যগুলো ছোট ছোট ব্যবসা নিয়ে ভালো ব্যবসা করতে পারে।
আপনি চাইলে আমাদের কাছ থেকে যে কোন ব্র্যান্ডের সরিষার তেল নিতে পারেন কিন্তু ছোট ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা অলওয়েজ রেকমেন্ড করি ছোট কম্পাইয়ের পণ্য গুলু বিক্রি করার জন্য। আপনি যদি লোকালয়ের ব্যবসায়ী হন তাহলে ছোট ছোট কোম্পানি পণ্যগুলি আপনি ভালো পরিমাণ বিক্রি করতে পারবেন কারণ লোকালয়ে বড় কোম্পানিররা কোম্পানির পণ্য পৌঁছায় না তাই আমরা রিকমেন্ড করি ছোট ছোট কোম্পানির পণগুলো বিক্রি করে আপনি আপনার ছোট ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন।
কতগুলো আইটেম নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ভালো?
প্রথমদিকে দুই থেকে তিনটি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করাই ভালো যখন আপনি আপনার মার্কেট সম্পর্কে আইডিয়া হবে যে কোন পণ্য গুলো ভালো বিক্রি করা যায় কোন পণ্যগুলো চাহিদা সবচেয়ে ভালো তখন আপনি ধীরে ধীরে আপনার আইটেম বাড়াতে পারেন। প্রথম অবস্থায় আমরা রিকমেন্ড করি দুই থেকে তিনটি পণ্য নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করে। দুই থেকে তিনটি পণ্য যদি আপনি ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে ওখান থেকে ইনশাল্লাহ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবে।
আর এই দুই থেকে তিনটি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার হলেই আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে কম ইনভেস্ট করাই ভালো যখন আপনি ব্যবসাটি ভালোভাবে বুঝবেন তখন আপনি আরো বেশি ইনভেস্ট করতে পারবেন।
ধরুন আপনি আমাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকার পণ্য ক্রয় করেছেন আপনি আপনার এই ১৫ হাজার টাকার পণ্য দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সেল দিবেন। তারপর আমাদের কাছে আবার অর্ডার করতে পারবেন আমরা মাল পৌঁছে দেবো। এভাবে আপনি ১৫০০০ টাকা দিয়েই এক মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মাল ক্রয় করতে পারবেন। এটা হচ্ছে ধীরে ধীরে আপনি নিবেন ধীরে ধীরে আপনি বিক্রি করবেন তাহলেই সবচেয়ে ভালো হয় তাহলে আপনি আপনার কনফিডেন্স পাবেন।
যাইহোক আপনি ব্যবসা শুরু করেন আমরা আপনাদের পাশে সবসময় আছি। আপনি পণ্য অর্ডার করার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার কাছে পৌঁছে যাবে ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় আমাদের ডেলিভারি সিস্টেম আছে।