ব্যবসায়িক গাইড

কিভাবে ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যবসা করবেন?

কিভাবে ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যবসা করবেন

আমরা জানি দিন দিন ওয়ান টাইম প্রোডাক্টটি এর চাহিদা বারতেছে। প্রায় সকল ফুড আইটেম দোকানে ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট প্রয়েজন হয়। আপনি কিবাবে ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যাবসা করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত স্টেপ বই স্টেপ গাইড এখানে শেয়ার করা হলো।  

ওয়ান টাইম গ্লাস এর ব্যাবহার: ওয়ান টাইম গ্লাস সাধারণত চা, কফি , ইসক্রিম, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। 

ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যাবসা করতে হলে আপনাকে ৪ টি ধাপ ভালো বুঝতে হবে।  

  1. মার্কেট এনালাইসিস 
  2. ব্যবসায় পরিকল্পনা 
  3. প্রোডাক্ট সংগ্রহ 
  4. প্রোডাক্ট মার্কেটিং এন্ড বিতরণ 

 মার্কেট এনালাইসিস: 

আপনি ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে মার্কেট এনালাইসিস করতে হবে।  মার্কেটিং এনালাইসিস বলতে বুঝায়: আপনি যে মার্কেটে ওয়ান টাইম আইটেম পাইকারি সেল করতে চাচ্ছেন সেখানে কি পরিমান ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট প্রয়েজন হয়, সেখানে কত মানুষ ব্যবসা করতেছে, কোন প্রোডাক্ট কত দামে সেল দিতেছে সে সম্পর্কে জানা। 

দরুন আপনি আপনার ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার এর মধ্যে প্রোডাক্ট পাইয়াকরি সেল দিতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে দেখতে হবে সেই এরিয়ার মধ্যে কতগুলু দোকানে ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট প্রয়েজন হচ্ছে। যদি ৫০ থেকে ১০০ দোকান থাকে তাহলে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দরুন গড়ে প্রতি দোকানে মাসে ২ হাজার টাকার প্রোডাক্ট প্রয়েজন হয় তাহলে  ১০০ দোকানে ২ লক্ষ টাকার প্রোডাক্ট সেল দিতে পারবেন। 

ব্যবসায় পরিকল্পনা: 

মার্কেট রিচার্স করার পরের ধাপ হল ব্যাবসায় পরিকল্পনা করা। ব্যাবসায় পরিকল্পনা বলতে বুজায় কিভাবে আপনি ব্যাবসা শুরু করবেন, কত টাকা প্রয়েজন, কিভাবে সফলতা অর্জন করবেন। 

ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যাবসা করার জন্য কত টাকা প্রয়েজন? 

মোটামোটি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলে আপনি ওয়ান টাইম গ্লাস এর পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।

দরুন আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। তাহলে এ ১০ হাজার টাকার প্রোডাক্ট আপনে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে বিক্রি করতে হবে। আপনি যখন দেখবেন ২ দিনে মোটামোটি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার সেল হয়েছে তাহলে ২ দিন পর আবার অর্ডার করবেন। এবাবে আপনি মাসে ১০ দিন মোকাম করত হবে।  আর যদি আপনার বাজেট থাকে তাহলে আপনি ২ থেকে ৩ বরে  পরুমসের প্রোডাক্ট ক্রয় করে নিতে পারেন। 

তবে আমরা সাজেস্ট করি অল্প অল্প করে প্রোডাক্ট ক্রয় করে বিক্রি করা। প্রোডাক্ট ক্রয় করুন এখন আর আগের মতো জামেলা নেই।  অর্ডার করুন পাইকার ওয়েবে। যথাসময়ে আপনার পণ্য পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায় কোনো জামেলা ছাড়াই।  পাইকারি পণ্য কিকুন সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে।  

প্রতি মাসে আপনার টার্গেট থাকতে হবে ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকার সেল।  তাহলে আপনি ভালো পরিমান ভাল করতে পারবেন।  ওয়ান টাইম আইটেমে ২০% থেকে ৩০% লাভ করা যায়।  আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা সেল করতে পারেন তাহলে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন। এটা সুদু একটা প্রোডাক্ট এর জন্য। এরকম ৪ থেকে ৫ টা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে কত টাকা আয় করতে পারবেন দেখুন।  

আসলেই কি এত টাকা আয় করা সম্ভব? 

আপনি যখন কোনো কোম্পানিতে মার্কেটিং জব করবেন। আপনাকে অবশ্যই একটা টার্গেট পূরণ করতে হবে।  দরুন আপনি একটা কোম্পানিতে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। ঐ কোম্পানি আপনাকে মিনিমাম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটা টার্গেট দিবে (কোম্পানির প্রোডাক্ট এর উপর টার্গেট ). যখন আপনি এ টার্গেট পূরণ করবেন তখন আপনি আপনার সেলারি পাবেন।   আপনি যে পরিমান সময় ও পরিশ্রম করে ৩ লক্ষ টাকার টার্গেট পূরণ করবেন। সে পরিমান সময় ও পরিশ্রম করে যদি ১ লক্ষ টাকা সেল দিতে পারেন তাহেল আপনি দ্বিগুন টাকা আয় করতে পারবেন। 

প্রোডাক্ট সংগ্রহ: 

আপনি বিভিন্ন এরিয়া থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারেন। ওয়ান টাইম আইটেম সংগ্রহ করার সময় যে বিষয়টি দেখতে হবে  সেটা হলো কোয়ালিটি। আপনি চাইলে পাইরক ওয়েব থেকেও নিতে পারেন।  সে ক্ষেতে আপনি কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।  

পাইকার ওয়েব থেকে ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট সংগ্রহ করার কয়েকটি সুবিধা: 

ক্যাশ অন ডেলিভারি: আপনি চাইলে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা নিতে পারবেন। প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে পেইমেন্ট করা।  আপনি সুদু ওয়েব সাইট এ অর্ডার দিবেন, পণ্য পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়। 

হোম ডেলিভারি ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে: আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্ট হোম ডেলিভারি সিস্টেমে নিতে পারেন। ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়। 

রিটার্ন সুবিধা:আপনি যদি প্রোডাক্ট এ কোনো সমস্যা পান অথবা ড্যামেজ থাকে তাহলে আপনি রিটার্ন করতে পারবেন।  

কোনো প্রকার জামেলা ছাড়াই হাতে পাওয়া: ধরুন আপনি একজন পাইকারি ব্যাবসায়ী। প্রতি মাসে আপনার ১০ থেকে ১২ বার প্রোডাক্ট কিনতে হবে।  আপনি যদি এ ১০ দিন মার্কেটে আসেন সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক খরচ হয়ে যাবে এবং সময়ও নষ্ট হবে।  আপনি যদি পাইকার ওয়েবে অর্ডার করেন তাহলে সহজেই আপনার পণ্য হাতে পেয়ে যাবেন কোনো জামেলা ছাড়া। 

প্রোডাক্ট মার্কেটিং এন্ড বিতরণ: 

মার্কেটিং হলো আপনার প্রোডাক্ট আপনার ট্রার্গেটেড কাস্টমার এর নিকট  সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলা।  ধরুন আপনি ওয়ান টাইম প্ৰডাক্ট সেল করেন। তাহলে আপনাকে দেখতে হবে কোন দোকানে ওয়ান টাইম প্রোডাক্টের ব্যাবহার আছে।  সে সকল দোকানে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলতে পারেন। 

আপনি প্রতিদিন মোটামোটি ৩০ থেকে ৪০ টি দোকানে ভিজিট করবেন। তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ টি দোকানে সেল দিতে পারলেই যথেষ্ট। প্রতিদি দোকানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার প্রোডাক্ট সেল করলে। দৈনিক ৫০০০ টাকার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।  আর ৫ হাজার টাকার প্রোডাক্ট সেল করলে এক হারাজ টাকার উপরে লাভ থাকবে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *