চকলেট এমন একটি আইটেম যার চাহিদা সবসময়ই থাকে। চকলেট আইটেম বাংলাদের সব জায়গায় চাহিদা আছে। বিভিন্ন ধরণের চকলেট আছে, কিচু চকলেট শুধু বচ্চার পছন্দ করে, কিচু চকলেট ইয়ংরা পছন্দ করে আবার কিচু চুকলেট আছে যেগুলু সবাই পছন্দ করে।
আজ এখানে আমি চকলেটের পাকাইরি ব্যাবসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কোথায় পাইকারি ক্রয় করতে পারবেন, কোথায় বিক্রি করবেন, কিবাবে বিক্রি করবেন এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
মার্কেটিং রিসার্চ :
ব্যবসা করার প্রথম ধাপ হলো মার্কেটিং রিসার্চ। মার্কেটিং রিসার্চ বলতে, কোন পণ্য কোন এরিয়াতে ভালো বিক্রি হয় বা ভালো চাহিদা আছে সে সম্পকে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা।
ধরুন আপনি পাইকারি চকলেট বিক্রি করবেন, তাহলে আপনাকে জানতে হবে আপনার এরিয়াতে চকলেটের চাহিদা কেমন। কি ধরণের চকলেটের চাহিদা ভালো, দোকানদার কোন চকলেটি কত দামে ক্রয় করে সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। যখন আপনি ওভারঅল এ বিষয় গুলু ভালো বাবে জানবেন তখন আপনার পরবর্তী ধাপ হলো পরিকল্পনা।
ব্যবসায় পরিকল্পনা:
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ব্যাবসায় পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কিবাবে ব্যবসা শুরু করবেন? কত টাকা ইনভেস্ট করবেন? এ ব্যবসায় কত টাকা নিয়ে ব্যবসা করলে ভালো পরিমান ভাল করতে পারবেন? এ বিষয় গুলো ভালো ভাবে জানতে হবে এবং পরিকল্পনা সেট করতে হবে।
দরুন আপনি পরিকল্পনা করলেন প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার চকলেট বিক্রি করবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম ৫ দিনের চকলেট ষ্টোকে রাখতে হবে। আপনি ১৫ হাজার টাকার চলত ষ্টোকে রাখতে হবে। তার মানে আপনি এ বাজেটের মধ্যে চকলেটের ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। যদিও বাজেট নির্বর করে আপনি কি ধরনের চকলেট পাইরকি বিক্রি করবেন তার উপর।
ব্যবসায় আয় ব্যয়:
এ ব্যবসায় আপনার কত আয় হতে পারে কত ব্যয় হতে পারে সে বিষয়টা নিয়ে কটু হিসাব রাখা। আয় ব্যয় নির্বর করে আপনি কিবাবে ব্যাবসাটা পরিচালনা করেন তার উপর। আপনি নিজে ব্যবসা করলে এক ধরনের ব্যয় হবে আবার অন্য কাউকে দিয়ে ব্যবসা করালে অন্য ধরনের ব্যয় হবে।
ধরুন আপনি প্ৰতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার চলকেট পাইকারি বিক্রি করতে পারেন। তাহলে মাসে ২৫ দিন মার্কেটে সেল দিতে পারলে প্রায় ১ লক্ষ টাকা সেল দিতে পারবেন। চকলেটে লাভের পরিমান বেশি। আপনি ৩০% এর উপর লাভ করতে পারবেন।
৩০% লাভ করলে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকার উপর ভাল করতে পারবেন। আর আপনি মার্কেটিং করলে মার্কেটি কস্ট ৩ থেকে ৪ হাজার যাবে। বাকিটা আপনার সেভ থাকবে।
মাসে কতো টাকার চকলেট পাইকারি বিক্রি করা সম্ভব ?
আপনি মাসে কত টাকার চকলেট বিক্রি করতে পারবেন সেটা নির্বর করে আপনি কোন এরিয়াতে বিক্রি করতেছেন এবং কোন ধরনের চকলেট বিক্রি করেন তার উপর।
যেহেতু আপনি পাইকারি বিক্রেতা সেহেতু আপনি তো পাইকারিই বিক্রি করবেন।ধরুন আপনি একটি দোকানে চলকেট পাইরাকি বিক্রি করবেন, সে দোকানদার আপনার কাছে থাকে ২ থেকে ৩ ধরনের চকলেট নিবে। তাহলে আপনি একজন দোকানদারের কাছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা সেল দিতে পারবেন। এরকম ১০ টি দোকানে সেল দিতে পারলে আপনি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দৈনিক সেল দিতে পারবেন।
এটা হলো মিনিমাম সেল। একজন মার্কেটার দৈনিক ৩০ থেকে ৫০ টা দোকান ভিজিট করে। তার মধ্যে ১০ দোকানে সেল হলেই যেথেষ্ট। আপনি যদি ৫০ টি দোকানে ভিজিট করে ২০ টি তে বিক্রি করতে পারেন তাহলে হিসেবে করে দেখুন মাসে কত টাকা সেল দিতে পারবেন। যেহেতু চকলেট একটি রানিং আইটেম সেহেতু এটা সব দোকানেই প্রয়েজন আছে।
ওভারঅল বলা যায় , একজন মার্কেটার মাসে ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চকলেট বিক্রি করা সম্ভব। আর এখন থেকে সকল খরচ বাদ দিয়ে ২০% করে লাভ করলেও মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ভাল করা যায়।
চকলেট কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন?
আমাদের দেশে অনেক পাইকারি মার্কেট আছে। আপনি চকলেটের পাইকারি মার্কেট থেকে চকলেট সংগ্রহ করতে পারেন। আপনার নিকটস্থ পাইকারি মার্কেট থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। আপনার যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে সংগ্রহ করতে পারেন। যদি আপনার পাইকারি ক্রয় করতে কষ্টসাধ্য মনে করেন তাহলে সহজেই আপনি পাইকারি চলকেট কিনতে পারেন পাইকার ওয়েব থেকে।
পাইকার ওয়েব কি?
পাইকার ওয়েব হলো পাইকারি পণ্য ক্রয় – বিক্রয়ের অনলাইন ভিত্তিক মাধ্যম যেখান থেকে আপনি সহজে যেকোনো পণ্য পাইকারি কিনতে পারবেন ঘরে বসে। পাইকার ওয়েব এমন একটি মাধ্যম যেখানে কোম্পানির পণ্য সরাসরি পাইকারি বিক্রেতার নিটক পৌঁছে দেয়। যেহেতু কোম্পানি থেকে সরাসরি পণ্য পাইকারি বিক্রেতার নিকট পৌঁছে দেয়। সে জন্য এখানে সবচেয়ে কম মূল্য পাইকারি পণ্য করা যায়। পাইয়াকরি পণ্য কিনার সহজ,দ্রুত ও নিরাপদ মাধ্যম হলো পাইকার ওয়েব।
সুতরং আপনি চাইলে চকলেট এখন থেকেও পাইকারি নিতে পারেন। ক্যাশ-অন ডেলিভারির সুবিধা আছে। পণ্য হাতে পেয়ে পেমেন্ট করা যাবে। কোনো প্রকার জামেলা ছাড়াই ঘরে বসে কিনুন পাইকারি পণ্য।