ব্যবসায়িক গাইড

কিভাবে পাইকারি ব্যবসা করবেন? ধাপে ধাপে নির্দেশিকা

কিভাবে পাইকারি ব্যবসা করবেন?

আপনি যে কোন ব্যবসা করেন না কেন আপনাকে সেই ব্যবসা সম্পর্কে প্রথমে ভালোভাবে জানতে হবে। ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সে সম্পর্কে আপনি পড়াশোনা করতে হবে অথবা যারা ব্যবসা করে এই সম্পর্কে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

আমি আমার এই নিবন্ধনে শেয়ার করব, কিভাবে আপনি অল্প ইনভেস্ট করে ছোটখাটো পাইকারি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।  আমাদের এই পাইকার ওয়েভ পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য তৈরি করেছি যাতে যে কোন কেউ সহজে যে কোন কোন পণ্য পাইকারি কিনতে পারে।

পাইকারি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

ধরুন আপনার কাছে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আছে, আপনি চাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসা করার জন্য। মানে কোন পণ্য পাইকারি ক্রয় করে আবার পাইকারি বিক্রি করবেন।  তাহলে আপনি প্রথমে দেখতে হবে কোন পণ্যগুলো আপনি এই টাকায় বেশি পরিমাণে কিনতে পারেন এবং এগুলোর চাহিদা কি রকম। যেহেতু ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পাইকারি মালামালের জন্য খুবই কম একটি টাকা, তাই এরকম পণ্য কিনতে হবে যে পণ্যগুলো আপনি প্রতিনিধিত রেগুলার সেল দিতে পারেন ।

উদাহরণস্বরূপ আপনি কটন বার নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছে। তাহলে আপনি কিন্তু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অথবা 20 হাজার টাকার মধ্যে অনেকগুলা পণ্য ক্রয় করতে পারবেন । এগুলো আবার দোকানে দোকানে সেল দিতে পারবেন বা আপনার যদি কোন দোকান থাকে যে যেখানে আপনি পাইকারি সেল দিতে চান তাহলে ওই দোকান থেকে পাইকারি সেল দিতে পারেন। 

 শুধু একটি পণ্য নিয়ে আপনি ছোটখাটো পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।  মিনিমাম চার থেকে পাঁচটা পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

 আমাদের পাইকার ওয়েবে অনেক পণ্য আছে সেগুলো নিয়ে আপনারা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পাইকার ওয়েবে পাইকারদের জন্যজন্য বিশেষ সুবিধা আছে যে কোন মালের প্রতি আমরা 30 থেকে 40% ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকি। আর যদি এর চেয়ে বেশি পরিমাণ  নেয়া হয় তাহলে দাম আরো কম পড়ে। 

কি কি পণ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন?

আপনি যদি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছোট বাইকের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি চার থেকে পাঁচটা পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন ধরা যাক, আপনি সরিষার তেল, কটন বাড,সুপারগ্লু এবং অন্যান্য যে মুদি দোকান এর  এক্সেসরিজ আছে তার মধ্য যেকোনো পাঁচটি আইটেম আপনি পছন্দ করে বিক্রি শুরু করতে পারেন। 

এর জন্য আপনি ৫০ হাজার টাকা কে সমান ভাগে ভাগ করে পাঁচটি আইটেম পঞ্চাশ হাজার টাকা পণ্য ক্রয় করে আপনি ছোট পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 তবে পণ্য পছন্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সে পণ্যগুলো রানিং চলতেছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যে এলাকাতে থাকেন সেই এলাকাতে কোন পণগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে পণ্যগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে।

কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন?

প্রথমে আপনি দোকানে দোকানে ঘুরে আপনি যে পণ্য গুলা ক্রয় করেছেন সেগুলোর মার্কেটিং করবেন প্লাস অর্ডার কাটবেন। পরে এ পণগুলো দোকানে দোকানে পৌঁছে দিবেন । প্রথম অবস্থায় আপনি নিজে মার্কেটিং করলেই ভালো হয়। তাহলে আপনি মার্কেট সম্পর্কে ভালো একটা আইডিয়া পাবেন এবং পরবর্তী সময় আপনি সঠিক পণ্য বাছাই করতে পারবেন। কোন পণ্যগুলো মার্কেটে কিরকম চলে একটা আইডিয়া পাবেন তখন আপনি মার্কেটের ডিমান্ড অনুযায়ী পণ্যগুলো ক্রয় করবেন।

 যখন আপনার মার্কেট সম্পর্কে ভালো আইডি হবে তখন আপনি সেলসম্যান রেখে আপনার পণ্যগুলা দোকানে দোকানে বিক্রি করতে পারে।এটা হল একটি প্রথম অবস্থায় একটি প্রথম ধাপ।

 দ্বিতীয় হল আপনার যদি কোন দোকান থাকে তাহলে আপনার এরিয়াতে যারা পাইকারি পণ্য ক্রয় করে তাদের কাছে যে আপনি মার্কেটিং করতে হবে। 

 যেহেতু আমাদের পাইকার ওয়েব পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে সেজন্য আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে যত পণ্য আছে সবগুলার পণ্যের অর্ডার নিতে পারেন।  এবং যতগুলো পণ্যের অর্ডার হবে ততগুলো পণ্যের অর্ডার আমাদের পাইকারও অর্ডার  করলে আমরা আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেব, আপনি আবার দুই একদিনের মধ্যেও দোকানদারকে ওই পণ্যগুলো পৌঁছে দিতে পারবেন।

২০ হাজার টাকায় কি ব্যবসা করা সম্ভব?

হ্যাঁ সম্ভব তবে একটু পরিশ্রম বেশি হবে। যেমন ধরুন আমাদের পাইকার ওয়েবে মুদি দোকানের বা অন্যান্য দোকানের একশোর উপরে পণ্য অ্যাভেলেবেল আছে  ধরুন আপনার কাছে 20 হাজার টাকা আছে আপনি আমাদের সাথে বা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ক্রয় করে সেল করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি প্রথম অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকার মাল ক্রয় করবেন। পরে ওয়েবসাইটে যে পণ্যগুলো এভেলেবল আছে আপনার দোকানে দোকানে যে সে পণ্যগুলোর শুধু অর্ডার কাটবে আমরা যেই দাম দেবো তার চেয়ে টেন পার্সেন্ট বেশি দামে আপনি শুধু অর্ডার করবেন।

 ধরুন আপনি একদিনে 10000 টাকার অর্ডার কাটলে  সেদিন সন্ধ্যায় আপনি বাইকে রইবে যে পণ্যগুলো সেল হয়েছে ওই পরিমাণ অর্ডার করলেন পরের দিন আপনি আপনার মালগুলো পেয়ে যাবেন এবং বিকেলে আপনার মালগুলো ডেলিভারি দিতে পারবেন। তাহলে আপনি ১০০০০ টাকার মধ্যেই এই বাইকের ব্যবসাটা করতে পারে  আর আমাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে আপনি  20% এর উপরে ব্যবসা করতে পারবেন। 

 আপনি যদি দৈনিক 10000 টাকার মাল বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ডেইলি দুই হাজার টাকা ইনকাম থাকবে।  মাসে বিশ দিন মার্কেট করতে পারলে তাহলে আপনার ৪০ হাজার টাকা রাখতে পারবেন । কারণ এক মাসে ৩০ দিন ৩০ দিনই আপনি মার্কেট করতে পারবেন না।  ২০ থেকে ২৫ দিন আপনি মার্কেটে যেতে পারবেন ডেলি আবার আছে ২০০০ টাকা ইনকাম হলে  ২৫ দিনে আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 আর এর মধ্যে ধরেন আপনার 10 থেকে 15 হাজার টাকা মার্কেটিং খরচ যেতে পারে তাহলে আপনি মাস শেষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সেভ করতে পারবেন। 

যখন আপনি দুই থেকে তিন মাস এভাবে আপনার পাইকারি মার্কেট টাকে ভালোভাবে আহত নিয়ে আসবেন এবং কিছু টাকা সেভ করবেন তখন কিন্তু আপনি বেশি টাকার মাল কিনতে পারবেন তখন আপনি সেলারও রাখতে পারবেন তখন আপনি ইনকাম টা আরো বাড়বে। 

মার্কেটিং চাকরি ভালো হবে না ব্যবসা ভালো হবে?

আপনি যখন মার্কেটিং চাকরি করবেন তখন আপনাকে একটি টার্গেট দেওয়া হবে। প্রতি মাসে আপনি মিনিমাম তিন থেকে চার লাখ  টাকার পণ্য বিক্রি করতে হবে। ধরুন আপনাকে ৪ লাখ টাকা টার্গেট দেওয়া হল আর এ ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলে আপনাকে মোটামুটি বারো হাজার টাকা স্যালারি দেয়া হবে। প্লাস অন্যান্য সব মিলিয়ে আপনি 15 থেকে 16 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিনিময়ে আপনাকে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করতে হবে।  এটাই হল মার্কেটিং চাকরি।

 ধরুন আপনি এই মার্কেটিং চাকরিটা আপনি আপনার নিজের ব্যবসার জন্য করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি কি রকম বেনিফিট নিয়ে আসতে পারেন?  ধরা যাক আপনি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন এবং আপনি যেকোন গুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন সেগুলো অবশ্যই দেখবেন যে রেগুলার সেল হয় কিনা সে পণগুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করবে। 

ধরুন আপনি আপনার ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করে মাসে ৪ লাখ টাকার  পণ্য বিক্রি করেছেন। আপনি যদি 4 লাখ টাকার  ২০% লাভ করতে পারেন তাহলে মোটামুটি ৮০ হাজার টাকার মত লাভ হবে। ধরেন আপনার মার্কেটিং অন্যান্য খরচে আপনার আরো ৩০ হাজার টাকা খরচ হল সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু মাস শেষে পঞ্চাশ হাজার টাকা সেভ করতে পারবেন। যেটা চাকরির তিনগুণ টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

 তবে ব্যবসাটা প্রথম অবস্থায় চাকরির চেয়ে অনেক কঠিন এবং অনেক পরিশ্রমের একটা কাজ তবে একবার আপনি যদি আপনার হাতে নিয়ে আসতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক সহজ হবে প্লাস আপনি অনেক টাকাও আর্ন করতে পারবেন।

 তো এখন আপনি ডিসিশন নেন যে আপনি কতটা পরিশ্রম করতে পারবেন এবং আপনার ক্রিটিভিটি দিয়ে ব্যবসা করে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  আর ব্যবসার আইডিয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের সবটা ভিজিট করবেন যাতে আপনি পাইকারি পণ্য সম্পর্কে আইডিয়া পান । 

পাইকারি পূর্ণ সম্পর্কে আইডিয়া নিতে অবশ্যই পাইকার ওয়েব ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *